ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  সাহিত্য

কারবালার ময়দানেই নির্ধারিত হয়েছিল সত্য ও মিথ্যার পথ:সূফিগুরু শাহেন শাহ খান

নিউজ ডেস্ক:

৬১ হিজরির ১০ই মুহাররম। ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক, কিন্তু সর্বাধিক শিক্ষা ও আত্মত্যাগে ভরা এক দিন। কারবালার রক্তাক্ত প্রান্তরে একদিকে ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অহংকার, অন্যদিকে ছিল আল্লাহর রাসূলের পরিবার—ন্যায়ের প্রতীক, মানবতার আশ্রয়। এই ময়দানে সংঘটিত হয়েছিল এমন এক সংঘর্ষ, যা কেবল রাজনৈতিক লড়াই ছিল না, বরং চিরকাল সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণের চূড়ান্ত নিদর্শন হয়ে থাকবে।

হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ)—প্রিয় নবি মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দৌহিত্র, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ছিলেন।ইয়াজিদ এর জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি মাথা নত করেননি। বিশ্বকে তিনি দেখিয়ে দিলেন যে, শাসক হতে হলে আল্লাহর বিধানের প্রতি আনুগত্য থাকা আবশ্যক, ক্ষমতা নয় বরং মূল্যবোধই সত্যের মানদণ্ড।

কারবালার ময়দান থেকে উচ্চারিত হয়েছিল ইতিহাসের সেই কালজয়ী ঘোষণা:
“মরণে লাঞ্ছনার চেয়ে মৃত্যু অনেক শ্রেয়।”
এই ঘোষণার মাঝে জেগে ওঠে মুক্ত মানুষের আত্মা, অন্ধকারে আলোর প্রতিজ্ঞা।

ইমাম হোসাইন (আঃ)-এর কুরবানি শুধু ইসলাম রক্ষার জন্যই নয়, বরং সত্য, মানবতা ও ন্যায়ের জন্য এক অমর বার্তা। তাঁর রক্তে যে ইতিহাস লেখা হয়েছে, তা আজো বলে—যেখানে অন্যায় আছে, সেখানে কারবালার বার্তা প্রাসঙ্গিক।

কারবালায় মিথ্যা রাজনীতি হার মেনেছিল সত্যের স্পষ্ট আলোকছটিতে। তাই ইতিহাস আজও বলে,
“ইয়াজিদের সিংহাসন রইল না, কিন্তু হোসাইনের আদর্শ চিরঞ্জীব।”

এই কারণেই কারবালা শুধু অতীতের এক ঘটনা নয়,

কারবালা হচ্ছে প্রতিদিনের এক পরীক্ষা—আপনি কোন পথে? সত্য, না মিথ্যা?