বিমানটির উড়ানের পর যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার পরও উপরে ওঠার পরিবর্তে ধীরে ধীরে নীচে নেমে যাচ্ছে।কী কারণে আহমেদাবাদে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইঞ্জিনে সমস্যা থেকে পাখির ধাক্কা, বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। সবটাই এখন তদন্ত সাপেক্ষ। তবে বাস্তব হল ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৪ জন। জানা যাচ্ছে দুর্ঘটনার আগে পাইলট এটিসিকে বলেছিলেন দুর্ঘটনার কারণ।লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ওই ড্রিম লাইনার টেক অফের কয়েক সেকেন্ড পরই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে চিত্কার করে বলেছিলেন, ‘মে ডে। কোনও থ্রাস্ট পাচ্ছি না। ইঞ্জিনের কোনও শক্তি নেই। বিমান ওঠানো যাচ্ছে না।’এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটির উড়ানের পর যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার পরও উপরে ওঠার পরিবর্তে ধীরে ধীরে নীচে নেমে যাচ্ছে। শেষপর্যন্ত সেই একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপরে আছড়ে পড়ে। এখন কী কারণে পাইলট থ্রাস্ট পাচ্ছিলেন না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।উড়ানের উপরে ওঠার ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা নিয়ে থাকে বিমানের স্পিড। সেই স্পিড বা থ্রাস্ট না পেলে বিমান নীচেই নামতে থাকবে। রেডারের ডেটা ও ফুটেজ দেখে বোঝা যায় ওড়ার পরই বিমানটি তার গতি হারিয়ে ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডানা ও ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ডানায় সমস্যা থাকলে ওড়ায় বাধা হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইঞ্জিনে পাখির ধাক্কা, ইঞ্জিন বিকল হওয়া থেকে দুর্ঘটনা হতে পারে। পাশাপাশি বিমানের জ্বালানীতে যদি ভেজাল থাকে তাহলে টেক অফের সময় প্রয়োজনীয় থ্রাস্ট পাবে না বিমান। পাইলটের কথা থেকে প্রশ্ন উঠছে জ্বালানী সরবারহকারীল লাইনে কোনও জ্যাম হলেছিল কিনা। দুর্ঘটনার দিন আহমেদাবাদের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওই তাপমাত্রায় বাতাসের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। ফলে টেক অফের সময়ে অনেক বেশি স্পিডের প্রয়োজন হয়। এখানও প্রশ্ন আবহাওয়ার বিষয়টি পাইলটের নজর এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি উঠে আসছে বিমানটির বয়স নিয়েও। সেটি ছিল ১১ বছরের পুরনো। বয়সের কারণেই কি কোনও সমস্যা হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন।